নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ অপসাংবাধিকতার শিকার হয়েছেন বানারিপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস. সরফুরদ্দিন আহমেদ সান্টু। দেশের এই মহামারী দূর্যোগের মুহূর্তে শত প্রতিকূলতার মাঝেও অসহায় দরিদ্র মানুষ ও নেতাকর্মীদের পাশে দাড়াতে ত্রান তথা অর্থ সহায়তা নিয়ে হাজির হয়েছেন উজিরপুর বানারিপাড়া বিএনপির সর্বজনপ্রিয় এই নেতা। এই সংকটময় মুহূর্তে প্রিয় এই নেতার অর্থ সহায়তা পেয়ে এই দুই উপজেলার সাধারন যখই উৎসাহ উৎফুল্লতা নিয়ে তাকে গ্রহন করলো ঠিক তখনই তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে চরম অপসাংবাদিকতা। বরিশালের বহুল সমালোচিত ও বিতর্কিত এক সাংবাদিক শুধু মাত্র আর্থিক ভাবে ফায়দা লোটার জন্য হীন মানসে দানবীর খ্যাত এই নেতার বিরুদ্ধে অনিবন্ধিত ভুইফোঁর একটি অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করে। যা চরমভাবে ব্যাথীত করেছে দখিনা জনপদের সাধারন মানুষসহ এই নেতাকে। মানুষকে সহযোগীতা করতে এসে অপপ্রচারের শিকার হয়ে চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনিসহ অনেকেই। এমন অবস্থায় বানারীপাড়া-উজিরপুরের অসহায় ও নিম্নবিত্ত মানুষ শংকায় রয়েছেন হতাশায় নিরুৎসায়িত হয়ে যদি না ত্রান সহায়তা বন্ধ করে দেন। তাদের প্রশ্ন তাহলে অসহায় মানুষগুলোকে বঞ্চিত করার দায় কে নেবে। আর্থিকভাবেক ফায়দালোটা তধাকথিত ঐ সাংবাদিক না অন্য কেউ।
এশিয়া মহাদেশের মধ্যে অন্যতম নয়ানাভিরাম গুঠিয়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ ও ঈদগাহ কমপ্লেক্স এর প্রতিষ্ঠাতা, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য, বরিশাল জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি বরিশাল তথা দক্ষিনাঞ্চল বিএনপির সর্বজনপ্রিয় নেতা, দক্ষিনাঞ্চলের বিশিষ্ট দানবীর খ্যাত এস. সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুর বিরুদ্ধে তথাকখিত জনৈক সাংবাদিক বরিশালের একটি অনিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকায় “উজিরপুর বিএনপিতে সান্টুকে নিয়ে বিদ্রোহ, অতীত ইতিহাস নিয়ে টানাটানি” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। মিথ্যা মনগড়া প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে বানারীপাড়া-উজিরপুর উপজেলা বিএনপিসহ গোটা বরিশাল বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে চরম ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বিরাজমান। যে কারনে ওই প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা জানিয়েছেন উজিরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক রিয়াজ মৃধা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বরিশালের চাঁদাবাজ, অকর্মা, তথাকথিত ঐ সাংবাদিক বরিশালের বেশিরভাগ স্থানীয় পত্রিকায় কাজ করলেও চাঁদাবাজিসহ তার নানা দুর্ণীতি ও কুকর্মের কারনে বেশী দিন ঠাঁই হয়নি কোথাও। সম্প্রতি একটি ভূঁইফোর অনলাইন পত্রিকার ব্যানারে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে যারা সমাজের অসহায় হতদরিদ্র, অসচ্ছল মানুষের পাশে দাড়িয়ে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এবার তাদের কাছ থেকে আর্থিকভাবে ফায়দা লুটতে তাদের পিছু লেগেছেন তথাকথিত ওই সাংবাদিক।
প্রকাশিত প্রতিবেদনকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক, উদ্দেশ্যপ্রোনোদিত বলে বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ রিয়াজ মৃধা অক্ষেপ করে বলেন, আমি কখনো সাংবাদিকতা করিনি। তবে যতদুর জানি সাংবাদিকতা করতে হলে ভিক্টিম এর বক্তব্য প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকা বাধ্যতামূলক। যার কোনোটাই উল্লেখিত প্রতিবেদনে পাওয়া যায় নাই। এমনকি তার অবর্তমানে দ্বায়িত্বশীল কোন ব্যক্তিরও বক্তব্য নাই। ক্ষুব্ধ রিয়াজ মৃধা বলেন, আমি তথাকথিত ঐ সাংবাদিকের প্রতিবেদন পরে হতবাক হয়ে গেছি। এ কারনে যে, কোন মানুষের সাথে শত্রুতা থাকলেও এভাবে মিথ্যা লিখে কেউ কাউকে হয়রানী করে না। প্রতিবেদনে যা যা লেখা হয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক, মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রোনোদিত। বিন্দু মাত্র সত্যতা বলতে কোন অস্তিত্ব ঐ সংবাদের কোথাও খুঁজে পাইনি।
রিয়াজ মৃধা বলেন, ঝালকাঠীর বাসন্ডা অন্ধ হুজুরের বাড়ীর সামনে বায়তুল আমান জামে মসজিদ, গুঠিয়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ সংলগ্ন মরহুমা মালেকা বেগম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানা, বাবুগঞ্জের রাকুদিয়া ‘বড় মোল্লাবাড়ী জামে মসজিদ, চন্দ্রদীপ জামে মসজিদ, গুঠিয়া কলেজগেট পাঞ্জেগানা জামে মসজিদ, গুঠিয়া কলেজগেট যাত্রী ছাউনি, গুঠিয়া আইডিয়াল ডিগ্রি কলেজ, জল্লা ইউনিয়ন আইডিয়াল ডিগ্রী কলেজ, সাতলা আইডিয়াল কলেজ, দারুস সুন্নাহ ফয়জিয়া আলহাজ্ব আঃ মজিদ সরদার কওমী মাদ্রাসা, জামেয়া আরাবিয়া দারুল উলুম পশ্চিম সাতলা হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানা, উজিরপুরের সাতলায় মেহের এর বাড়ী তাবলীগি জামাআত খানা, বরিশাল ক্লাবের ‘বিলিয়ার্ড রুম, বরিশার মহিলা ক্লাব, পটুয়াখালী রাইফেল ক্লাব স্যুটিং কমপ্লেক্স, যশোরের ঝিকরগাছায় সম্মিলনী মহিলা কলেজ হোস্টেল, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ‘দারুল ইসলাম মহিলা কমপ্লেক্সসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এস. সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু। তিনি বলেন, এলাকা ও এলাকার বাহিরে শত শত ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ বহন, শত শত অসচ্ছল পরিবারের মেয়ের বিবাহের খরচ বহন করেন সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু। যা এখনও বিদ্যমান আছে। এলাকার হাজারো শ্রমিকের মাঝে ভ্যান রিক্সা বিতরন করেছেন, যা এখনও অব্যাহত আছে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সহসাই সমাজের অসহায় অসচ্ছল মানুষের পাশে বিত্তবানদের তেমন একটা দেখা যায় না। আর এ অঞ্চলের মানুষ যাকে দানবীর হিসেবে চেনে ও জানে। যিনি সব সময় শুধু উজিরপুর ও বানারীপাড়া উপজেলাই নয় গোটা বরিশালেই যার দানের ইতিহাস বিদ্যমান। বিশেষ করে বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। তিনি তার নিজ এলাকায় তিনটি কলেজ, একাধীক এতিম খানা, কওমী মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজ তার বিরুদ্ধে এরকম মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মনগড়া ও ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ তথাকথিত ওই সাংবাদিক পরিবেশন করে গোটা বরিশালের মানুষের কলিজায় অঘাত করেছে। এহেন মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদের ভাষা আমার জানা নেই। রিয়াজ মৃধা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, প্রকাশিত সংবাদের শিরোনামটিই মিথ্যা। তথাকথিত ওই সাংবাদিক সংবাদের শিরোনাম দিয়েছেন, “উজিরপুর বিএনপিতে সান্টুকে নিয়ে বিদ্রোহ, অতীত ইতিহাস নিয়ে টানাটানি”। সংবাদের ভিতরে কারা বিদ্রোহ করেছেন, এরকম কোন ব্যক্তির নাম উল্লেখ নাই। উজিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মান্নান মাস্টারের বক্তব্য নিয়েছেন তিনিও বলেন নাই বানারীপাড়া ও উজিরপুরে নেতাকর্মীদের মাঝে কোন বিদ্রোহ আছে। আর অতিত ইতিহাস নিয়ে টানাটানি উল্লেখ করে যা লিখছেন তা একেবারে ঢাহা মিথ্যা। রিয়াজ মৃধা বলেন, বানারীপাড়া-উজিরপুর এলাকাবাসীর হৃদয়ের স্পন্দন জননেতা সরফুদ্দিন সান্টু ভাইর অতিত ইতিহাস সম্পর্র্কে যেসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা সবই মিথ্যা উল্লেখ করে তনি বলেন, আমরা যতটুকু তথাকথিত ঐ সাংবাদিক সম্পর্কে জানি তা অনেক ভয়াবহ ও জঘন্য। মানুষ হত্যা, নারী কেলেংকারী, চাঁদাবাজী, ব্লাকমেইল করে উপঢৌকন আদায়সহ এহেন কোনো অভিযোগ নাই যে তার বিরুদ্ধে নাই।
এব্যাপারে বিদেশে অবস্থানরত বানারিপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস. সরফুরদ্দিন আহমেদ সান্টু মুঠো ফোনে বলেন, আমি শুধু বরিশালই নয় বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার অসহায়-অসচ্ছল মানুষের জন্য আর্থিক সহয়তা করে আসছি। যা করেছি স্বেচ্ছায় এবং আমার উপার্জিত বৈধ অর্থ দিয়ে করেছি। আমি এমপি, মন্ত্রী কিংবা জনপ্রতিনিধি ছিলাম না। আমার উপার্জনের একটা অংশ স্বেচ্ছায় সমাজের অসহায় মানুষের মাঝে দান করেছি। যা আমি যতদিন আমি বেঁচে আছি ততদিন অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। তিনি তথাকথিত সাংবাদিক সম্পর্কে বলেন, আমি তার জীবন ইতিহাস জানি। আমি দেশে ফিরে দেশের প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দেবো।
Leave a Reply